সায়েস্তাবাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ইতিহাস বেশ প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। বরিশালে অবস্থিত হওয়ায় এই অঞ্চলের ভাষার সেৌন্দর্য পরিলক্ষিত হয় । এ জেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে সুফিয়া কামাল, সার্জেন্ট ফজলুল হক, আ:রহমান বিশ্বাস বিখ্যাত।
মানুষের আবেগ, অনুভূতি, অভিব্যক্তি, চিন্তা, চেতনা সবকিছু প্রকাশের বাহন । তাইতো বলা হয়েছে ‘‘মানুষের কণ্ঠোচ্চারিত অর্থযুক্ত ধ্বনি সমস্টিই ভাষা’’। আর এ ভাষা পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদের ভিন্ন ভিন্ন। যেমন বাঙালি জাতির ভাষা বাংলা। এই বাংলা ভাষা ভারতীয় কথ্য ভাষার প্রাচীন প্রাকৃত (খৃ.পূ.৫০০) হতে গৌড়ীয় প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে বাংলার জন্ম হয়েছে।
বাংলা ভাষার যেমন আছে পরিশীলিত রূপ তেমনি অঞ্চল ভিত্তিক গ্রামীণ জনপদে প্রচলিত রয়েছে আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা।
ভৌগোলিক কারণে হোক বা শারীরিক গঠনের জন্য হোক আমাদের চাদপুরা ইউনিয়নের শিক্ষিতজনেরা বাংলাদেশের অনেক জেলার অপেক্ষা পরিশীলিত ভাষায় কথা বলতে পারেন। তাদের উচ্চারণে কোন বিকৃতি নেই, নেই অস্পষ্টতা। তারা অনায়াসে আঞ্চলিকতা সম্পন্ন ভাষা বা উচ্চারণ পরিহার করতে পারেন।
ম্যাকসমূলার বলেছেন "ভাষার প্রকৃত ও স্বাভাবিক জীবন তার উপভাষা গুলিতে"। উল্লেখ্য বাংলা ভাষাও তার ব্যতিক্রম নয়। বরিশালের পরিশীলিত ও মার্জিত ভাষার সমান্তরাল চাদপুরা ইউনিয়নের প্রামাঞ্চলে প্রচলিত রয়েছে।
আঞ্চলিক ভাষা, যখন এ গ্রামাঞ্চলের জনপদে উদ্ভব হয়েছে নিঃসন্দেহে সে সময় হতে গ্রামীণ জনপদ আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে আসছে। এ ভাষার উচ্চারণগত সহজবোধ্যতা, সাবলীলতা ও শ্রুতিমাধুর্য অসামান্য।
সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকজনই বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে থাকে। তবে শিক্ষিত লোকজন বেশীর ভাগই চলিত ভাষায় কথা বলে থাকে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS